Category: News

Ongoing Project Summary

SL

Name of the Project/Activities

Location
   District     Upozila
01 Livelihood Development of Forest development Communities in and around Chunati Wildlife Sanctuary (LDFC-CWS) Project (Phase 2)  

CoxsBazar and Chittagong

 

Chakria, Lohagara and Banskhali

02 Inani Protected Forest Area Co-Management Project.

US Govt. through Arannayak Foundation.

   CoxsBazar

 

   Ukhiya
03 Improving Maternal and Child Nutrition Program (IMCN)   CoxsBazar    Ukhiya and Teknaf
04 Enhancing Food Security  (EFS) Project   CoxsBazar   Ukhiya and Teknaf
05 Blanket Supplementary Feeding Program (BSFP) Kutupalong   CoxsBazar    Ukhiya
06 Blanket Supplementary Feeding Program (BSFP) Leda   CoxsBazar   Teknaf
07 Enhance Resilience Program   CoxsBazar   Teknaf
08 Community Based Management of Acute Malnutrition    CoxsBazar   Ukhiya and Teknaf
09 Water, Sanitation and  Hygiene (WASH)   CoxsBazar    Ukhiya and Teknaf
10 OptiDiag Project   CoxsBazar   Ukhiya
11 Vulnerable Group Development (VGD) Program funded by Department of Women Affairs (DWA)   CoxsBazar and Chittagong   Teknaf, Chakaria, Lohagara and Banskhali
12 WASH Project  CoxsBazar    Ukhiya and Teknaf
13 Community Engagement in Countering Violent Extremism in CoxsBazar (CEVEC)   CoxsBazar    Ukhiya and Teknaf
14 Nutrition Interventions for under 5 Children and pregnant and Lactating Women (PLW) in CoxsBazar    CoxsBazar    Ukhiya and Teknaf
15 Improving the quality of life for persons with disabilities  and their families in Refugee camps and surrounding Communities   CoxsBazar    Ukhiya and Teknaf

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব ও বিভিন্ন টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল ও সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা “চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্যা আর্থ” পুরষ্কার এ ভূষিত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় এবং পরিবেশ বিষয়ে নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে বাংলাদেশের সুদূরপ্রসারী অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক গৃহীত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের সফলতা সরেজমিনে পরিদর্শন ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৬ সেপ্টেম্বর”২০১৫ তারিখ বুধবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ডেপুটি প্রেস সচিব এর নের্তৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল পরিদর্শন করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার দক্ষিন বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক রেঞ্জ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা। তারা প্রস্তাবিত ইনানী জাতীয় উদ্যান এর বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন শেষে ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল সহ-ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় আরণ্যক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত সোয়ানখালী ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন। উক্ত সভায় তারা প্রকল্পের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যক্তিদের সাথে যেমন- বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির নের্তৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ, প্রকল্প কর্মকর্তাবৃন্দ, সহকারী বন সংরক্ষক, রেঞ্জ কর্মকর্তা, বিট কর্মকর্তা, বন পাহারাদল, বনরক্ষা দল এবং বনসংরক্ষন ফোরাম এর সদস্যদের সাথে বন, পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষনের বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা এবং সফলতা লিপিবদ্ধ করেন করেন ও ক্যামেরায় ধারন করেন। সভার শুরুতে পারস্পরিক পরিচিতির শেষে  বিভাগীয় বনকর্মকর্তা উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে প্রতিনিধিদলের সফরের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি তার বক্তব্যে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও শেডের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন সিএমসির কোষাধ্যক্ষ জনাব নুরুল আমিন ভূট্টো এবং মাঠ পর্যায়ের প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্প সমন্বয়কারী। এসময় তিনি আগত অতিথিদের প্রত্যকের হাতে প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি করে ফোল্ডার তুলে দেন। তারপর উপস্থিত সাংবাদিকগণ প্রকল্প সুবিধাভোগীদের সরাসরি প্রশ্ন করে ও সাক্ষাৎকার ধারণ করেন। এ সময় তারা সোয়ানখালী ইকোট্যুরিজম সেন্টারের ভিতর দিয়ে এক ঘণ্টার পায়ে হাঁটার প্রাকৃতিক পথের দুই পাশের গভীর বনাঞ্চল ক্যমেরায় ধারণ করে এক কি.মি. পথ অতিক্রম করে ১ নং গোল ঘরে গিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় বিভাগীয় বনকর্মকর্তার সাক্ষাৎকার ধারণ করেন। তিনি এ বনাঞ্চলের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ইনানীর এ বনাঞ্চল একসময় জীব-বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিল এবং ছিল বৃহৎ স্থলজ প্রানী এশিয়ান হাতির অবাধ বিচরনক্ষেত্র। তাই এখন বনবিভাগ আরণ্যক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় শেডকে সাথে নিয়ে এ হারিয়ে যাওয়া জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১০০০০ হেক্টরের এই বনভূমির উপর সরাসরি নির্ভরশীল ২০০০ পরিবারকে বিকল্প জীবীকায়নের মাধ্যমে বননির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হয়েছে। তাদের বিকল্প জীবিকায়ন প্রদান করার ফলে বনের উপর চাপ কমেছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।  আরণ্যক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বনের ৭০০০ হেক্টর কোর জোনে হারানো প্রজাতির দেশীয় বৃক্ষের বনায়ন, পশু খাদ্যের বাগান সৃজন, হাতির খাবারের জন্য বনায়ন করার ফলে সবুজায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে হারানো জীব-বৈচিত্র্য ফিরে আসা শুরু হয়েছে। বনবিভাগের তথ্য মতে বর্তমানে এ বনে প্রায় ৩১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ৩১৬ প্রজাতির প্রানী রয়েছে এবং ২০১০ সালের তুলনায় বনের বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় কমিউনিটি বন পাহারাদলের বিট কর্মকর্তার সাথে স্বতস্ফুর্ত বনপাহারা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যা বনজ সম্পদ রক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে চলেছে। বনপাহারা দলের সহযোগিতায় বিট কর্মকর্তারা প্রতি বছর অঢেল বনজ দ্রব্য জব্দ করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করছে। সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে দ্বন্দ্ব নিরসন করার ফলে বন মামলা কমেছে অনেকাংশে।  তিনি আরও বলেন শেড-আরণ্যক ফাউন্ডেশন এর সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার ফলে উপজাতি চাকমা সম্প্রদায় এখন আর জুম চাষ করে না। তারা আরণ্যক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বিকল্প জীবিকায়নের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যা বন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে।

DSCF9568

পরবর্তীতে বনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের সফলতা, বন সংরক্ষণে ভূমিকা এবং বনপাহারাদলের ঝুঁকি নিয়ে সিএমসির কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য, বনরক্ষা দলের সদস্য, বনপাহারা দলের সদস্য, বন পাহারাদলের সভাপতি, শেডের ফিল্ড সুপারভাইজার, ও রেঞ্জ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন।  সাক্ষাতকারে শেডের ফিল্ড সুপারভাইজার বলেন, আরণ্যক ফাউন্ডেশন শেড ও বনবিভাগ কে সাথে নিয়ে বন ও বনের জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে, বনজীবী মানুষের উন্নয়নে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করনের লক্ষ্যে বন বাঁচায় আমাদেরকে, আমরা বাঁচাব বনকে শীর্ষক শ্লোগানকে সামনে নিয়ে বন সংরক্ষনের লক্ষ্যে স্থানীয় বননির্ভরশীল জনসাধারনকে সংগঠিত করে সমাজ ভিত্তিক সংগঠন তৈরী করে তাদের বিকল্প জীবিকায়নের মাধ্যমে বনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বন সংরক্ষণ কৌশল গ্রহন করে। তাদের বিকল্প জীবিকায়নের লক্ষ্যে আরণ্যক ফাউন্ডেশন তাদের যথাযথভাবে সংগঠিত করে বিধিবদ্ধভাবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে তাদের ব্যাংক হিসাবে ৩৪,৪০০০০/- টাকা ঘুর্নায়মান তহবিল হিসেবে প্রদান করে। পাশাপাশি তাদের ব্যাংক হিসাবে নিজস্ব সঞ্চয় দাড়িয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। এছাড়া ও প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বনরক্ষা দলের সদস্যদের জ্বালানী সাশ্রয়ী উন্নত চুলা, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, গাছের চারা, সবজী বীজ, সার, মৌসুমী ফলের চারা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি প্রদান করা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন আমরা প্রকল্পের পক্ষ হতে একজন প্রকল্প সুবিধাভোগী মোঃ রফিক উদ্দিন কে বাংলাদেশ বন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম এ   রাসায়নিক সংরক্ষনী প্রয়োগের মাধ্যমে পানের বরজে ব্যবহৃত খুঁটির জীবনীকাল বৃদ্ধির প্রকল্পের জন্য প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা এবং প্রশিক্ষণ পরবর্তীতে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছি। যা অত্র এলাকারা বনজ সম্পদ রক্ষায় এবং বন সংরক্ষণে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে আসছে। উপস্থিত সকলে উক্ত প্রকল্পের ভূয়সী প্রসংশা করেন।

উক্ত পরিদর্শন দলে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার, চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন, চ্যানেল ৭১, সময় টিভি, বৈশাখী টেলিভিশন, এসএ টেলিভিশন,  সিনহুয়া নিউজ এজেন্সী, বাংলাভিশন এর প্রতিবেদক এবং ক্যামেরাম্যানবৃন্দ। প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক কালেরকন্ঠ, এবং দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক যায়যায়দিন এর প্রতিবেদকবৃন্দ। পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দল টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

উখিয়ায় শেড ও আরন্যক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিদর্শনে মার্কিন রাষ্ট্রদুত

চাকমাপাড়ায় বননির্ভরশীল মহিলাদের হস্তশিল্প প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ মার্কিন রাষ্ট্রদুত ড্যান মজীনা বলেন- বিকল্প জীবিকায়নের মাধ্যমে বন ও পরিবেশ রক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

গত ডিসেম্বর ১২, ২০১৪ ইং তারিখে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদুত ডব্লিও ড্যান মজীনা সহ USAID   এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জেনিনা জেরুজেলস্কি এর নের্তৃত্বে USAID এর প্রতিনিধিদল শেড কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল সহ-ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ও রক্ষিত বনাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেন। এছাড়াও উক্ত পরিদর্শনে আরন্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জনাব ফরিদ উদ্দিন আহমদের নের্তৃত্বে আরন্যক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব আব্দুল আওয়াল সরকার, সহকারী বন সংরক্ষক জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা জনাব মীর আহমেদ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা পুলিশ প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সকল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রকল্প বাস্তবায়নকৃত এনজিও সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড)-এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ উমরা গোটা পরিদর্শন দলের নের্তৃত্ব দেন। জনাব মোহাম্মদ উমরা এর নের্তৃত্বে মার্কিন রাষ্ট্রদুতের প্রতিনিধি দল প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। ১২ ডিসেম্বর সকাল ৭.০০ ঘটিকার সময় কক্সবাজার শহর হতে প্রায় ৩৫ কি মি দূরের সোয়ানখালী বিট অফিস সংলগ্ন আরন্যক ফাউন্ডেশন ও শেড এর ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল সহ-ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহায়তায় বনবিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত নবনির্মিত ইনানী ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় পাখির গুঞ্জনে মুখরিত পরিবেশে তিনি মুগ্ধ হন। পরে ৮.৩০ মিনিটের সময় ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার সংলগ্ন পাহাড়ী মেঠো পথ বেয়ে এক ঘন্টার পায়ে হাঁটার ট্রেইল হাইকিং এ অংশগ্রহন কালে উঁচু পাহাড়ের ঢালে দাঁড়িয়ে এক মনোরম মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকন করেন যার একপাশে সাগরের বিস্তীর্ন নীল জলরাশি আর অন্য পাশে সবুজ চাদরে ঢাকা গহীন সবুজ পাহাড়ী বনাঞ্চল। এই সময়টিকে তিনি তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরনীয় মূহূর্তগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেন। পরে তিনি ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি সহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশাজীবী স্টেকহোল্ডার ও কমিউনিটি বন পাহারাদলের সাথে মতবিনিময় করেন। উক্ত মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শেড এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ উমরা, আরন্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জনাব ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সিএমসি সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব আব্দুল আওয়াল সরকার, USAID   এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জেনিনা জেরুজেলস্কি সহ প্রতিনিধিদল, আরন্যক ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম সিনিয়র অফিসার ড. আব্দুল কুদ্দুস, জনাব আব্দুল মান্নান, সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল করিম চৌধুরী, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর আহমেদ, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রকল্প সমন্বয়কারী, প্রকল্প কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট বনবিট কর্মকর্তা, চাকমা কমিউনিটির নের্তৃবৃন্দ, বন পাহারাদল ও বন সংরক্ষণ দলের সদস্য ও নের্তৃবৃন্দ। তিনি এই সময় বলেন অংশীদারীত্বের মাধ্যমে বনজ সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পর্যটন নগরীর এ অঞ্চলে অনেক সম্ভাবনাময় ইকো-ট্যুরিজম খাতের উন্নয়নের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করে এই বন উপকূলীয় বাংলাদেশের সুরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। তিনি কমিউনিটি বনপাহারাদলের সদস্যদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহন শেষে সকাল ১০.৩০ মিনিটে মাদারবনিয়া চাকমা পল্লী পরিদর্শন করেন। এই সময় শেড এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ উমরা মার্কিন রাষ্ট্রদুত ড্যান মজীনা, USAID এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জেনিনা জেরুজেলস্কি সহ প্রতিনিধিদল, আরন্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জনাব ফরিদ উদ্দিনসহ আরন্যক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দল, উপস্থিত জনপ্রতিনিধি, বন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সামনে বিকল্প জীবিকায়নের জন্য প্রকল্পের বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম সরেজমিনে তুলে ধরেন। শেড এর প্রদানকৃত ঘুর্নায়মান ঋণ তহবিলের সহযোগিতায় বিকল্প জীবিকায়ন কার্যক্রম ও বননির্ভরশীল চাকমা পুরুষ মহিলাদের হস্তশিল্প কার্যক্রম দেখে ড্যান মজীনা মুগ্ধ ও বিস্মিত হন। তিনি এসময় চাকমাদের বাড়ির চারপাশে সবজি চাষ, হাস-মুরগীর খামার, গবাদি পশু পালন, মৃত শিল্প, হস্ত শিল্প, তাঁত বুননের কাজ, মাছ শিকারের জাল তৈরীর প্রক্রিয়া এবং উন্নত চুলার ব্যবহার স্বচক্ষে পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদুত এসময় বলেন পাহাড়ী এলাকায় যারা বন নিধন করে জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত তারা আজ বিকল্প জীবিকা হিসেবে কুটির শিল্প, হস্ত শিল্প, কৃষিখামার ও পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে বন সংরক্ষনে সরাসরি সক্রিয় অংশগ্রহন করছে। বন ও পরিবেশ সংরক্ষনে এটা একটা বিরাট অর্জন।

প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ড্যান মজীনা একটি সংবাদ সম্মেনলনে অংশগ্রহন করেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন পরিকল্পিতভাবে পতিত জমিতে বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী  গড়ে তুলে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুতর দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব। যারা পূর্বে বন ধ্বংস করে জীবিকা নির্বাহ করত তারা এখন নিজেরাই বন রক্ষা করছে এবং বন সংরক্ষণে সক্রিয় অংশগ্রহন করে বিকল্প ভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে। পরিবেশ, বন ও বনের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় এই অসামান্য অর্জন নিসন্দেহে একটি বিপ্লব। এই বিপ্লব সাধনের সম্পূর্ন কৃতিত্ব শেড ও আরন্যক ফাউন্ডেশনের। আর এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন সরাসরি মাঠে এসে স্বচক্ষে দেখা নিসন্দেহে আনন্দের। আমি এই পরিবর্তিত দৃশ্য দেখতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত এবং এই কর্মযজ্ঞের সাথে জড়িত সকলের সাথে এই আনন্দ ভাগাভাগি করতে চাই। এই অনুকরণীয় এবং প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য শেড ও আরন্যক ফাউন্ডেশন কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শেড –এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ উমরা শেড-এর বাস্তবায়নকৃত প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদুত, USAID এর কান্ট্রি ডিরেক্টর, আরন্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সহ পরিদর্শনে অংশগ্রহনকারী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও আর্থিক সহযোগিতা পেলে শেড বনজীবী মানুষের উন্নয়নে ও বন সংরক্ষনে আরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি আর্থিক সহযোগিতার জন্য সার্বিকভাবে আরন্যক ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।

উখিয়ার ৩ চেয়ারম্যানকে ক্রেস্ট প্রদান

উখিয়ার গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ক্রেস্ট প্রদানকালে এনজি সংস্থা শেডের পরিচালক মোঃ উমরা বলেছেন, পালংখালী, জালিয়াপালং ও হলদিয়াপালং ইউনিয়নে গত ৪ বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তৎমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার, জরাঝির্ণ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান সহ দূর্যোগ কবলিত এলাকায় আশ্রায়ন প্রকল্পের ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে উপকূলীয় জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগীতায় এনজিও সংস্থা শেড কর্তৃক বাস্তবায়িত সৌহার্দ্য -২ কর্মসূচীর আওতায় স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সম্মাননা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক ক্ষমতাবলে যেসব উন্নয়ন কাজ  অসম্পূর্ণ রয়েছে এনজিও সংস্থা শেড তা সম্পন্ন করে এলাকায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানায়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এনজিও সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন, সৌহার্দ্য কর্মসূচীর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শওকত আলী, ও শেডের কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান রেজা, সাইফুদ্দিন, শাহিন ও জিয়া। এর আগে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু ও জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন চৌধুরীকে প্রধান অতিথি আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্রেস্ট প্রদান করেন।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় শাহপরীর দ্বীপে ভিজিডি’র অর্থ বিতরণ

টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এনজিও সংস্থা শেড এর সহযোগীতায় শাহপরীর দ্বীপে ভিজিডি কার্ডধারী মহিলাদের মাঝে তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থ হস্তান্তর করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এ অর্থ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সিডিল থাকলেও শাহপরীর দ্বীপের ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থ মহিলাদের যাতায়ত সমস্যার কথা বিবেচনা করে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে তা শাহপরীর দ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সঞ্চয়ী অর্থ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হামিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেড এর প্রোগ্রাম পরিচালক বাথাই মং, ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সনজিদা বেগম। এতে শাহপরীর দ্বীপের ৩ ওয়ার্ডের ১৮৯ জন মহিলা সদস্যদের মাঝে ভিজিডির টাকা হস্তান্তর করেন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হামিদুর রহমান।

টেকনাফ উপজেলার হ্নীলায় শেড-সৌর্হাদ্য-২ কর্মসূচীর বিদায়ী সভা

টেকনাফ উপজেলার হ্নীলায় কর্মরত এনজিও সংস্থা শেড-সৌহার্দ্য-২ কর্মসূচীর বিদায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তারা বলেন দেশের দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এই জাতীয় কর্মসূচীর বিকল্প নেই। ৯ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকাল ১১টায় হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এই সংস্থ্রা বিদায়ী সভা প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোছন মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি শেড-সৌহার্দ্য-২ কর্মসূচীর প্রকল্প সমন্বয়কারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেয়ার বাংলাদেশের কমিউনিটি অফিসার হাওলাদার নাসির উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শেড-সৌহার্দ্য-২ কর্মসূচীর টেকনাফ সুপার ভাইজার মনিরুল আলম। এফএফ রুহুল কাদেরের পরিচালনায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরিদুল আলম মেম্বার, আলী আহমদ মেম্বার, মোঃ হোছন বাইল্যা, মোঃ ইউনুছ মেম্বার, মোঃ আলী মেম্বার, আনোয়ারা ছিদ্দিকা, ইউপি সচিব হাকিম উদ্দিন পাহাড়ী, দূর্যোগ ও ঝুঁিক হ্রাস বিষয়ক টেকনিক্যাল অফিসার আব্দুল মান্নান, ইনফ্রাকট্রাকসার অফিসার সৌরভ চাকমা, সাবেক মেম্বার ছালেহ আহমদ, কবির আহমদ,আবু বক্কর ছিদ্দিক, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল কবির, দেলওয়ারুল ইসলাম, নুর হোসেন, মোঃ হাশেম, জাফর আলম, হ্নীলা হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম,হ্নীলা প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক এরশাদুর রহমান, এফডিএসআরের ক্লিনিক ম্যানেজার বাবু অজয় কুমার চৌধুরী, হ্নীলা পরিবার-পরিকল্পনা পরিদর্শক মংটিং অং,স্বাস্থ্য পরিদর্শক ওসমান গণি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোছাইন, ব্র্যাক প্রতিনিধি আওলাদ হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা নুসরাত জাহান খুকী, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ছৈয়দ নুর,ঠান্ডা মিয়া,সরওয়ার কামাল, সহসভাপতি শব্বির আহমদ,সাংগঠনিক জয়নাল আবেদীন ও স্বেচ্ছাসেবক হোছন আহমদ,এফএফ দুলাল কান্তি দাশ, আব্দুল্লাহ ও এএছিদ্দিক প্রমুখ। এতে বক্তারা বলেন গত ২০১১সাল হতে ২০১৫সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সৌহার্দ্য-২ কর্মসূচীর কার্যক্রম সমাপ্ত হতে চলছে। সততা,স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করায় এলাকার উন্নয়নে, দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তা উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। দেশের দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এই জাতীয় কর্মসূচীর বিকল্প নেই।

Message from President

Message from President

 

I am happy to learn that Executive director and his management team has accomplished the task of developing the annual report for the period from July 2013 to June 2014 through hard work that proves their commitment.

 

I like to recall hare that since the inception SHED could gradually increase the number of project as well as the geographic location and now the organization is working in Upazila 6 of the country which gives the organization status of National NGO. This has become possible due to increase of organizational capacity which could attract various donors to come forward to provide financial and technical assistance in implement different development projects.

 

On behalf of the organization and on own self, I would like to thank the development partners /donors and staff concerned for their valuable support and continued cooperation in its effort, made for the wellbeing of target community.

 

I am confidant that SHED will be able to provide more need based, effective and quality services for the overall development of the livelihood and be able to put positive impact in attaining millennium development goal.

 

I have my best wishes for all concerned.

 

 

Abul Kalam

President, SHED.

External Relationship

Partnering

SHED  has the working experience in a partnership approach with the following national and international level Development agencies and different GO Departments and acquired relevant  the experience of working mostly in  the sectors  of Health, Nutrition, Sanitation, Education, Agriculture & Livestock, Disaster management & Emergency response, Forestry Development etc:

  • ICDDR,B,
  • BPHC-DFID
  • HKI
  • ACTIONAID Bangladesh
  • OXFAM
  • DASCHO (Swiss Red Cross)
  • MoH& FP
  • MoF Food & Agriculture
  • MoF Fisheries & Livestock
  • MoF Education
  • Department of Coastal Forest
  • UNICEF
  • CARE-USAID
  • FHI
  • UNHCR
  • FAO
  • UNDP
  • WFP
  • MSF Holland
  • Arannayk Foundation (Bangladesh Tropical Forest Conservation Foundation)

 

Membership with

The organization is member of the following forum/organizations

  1. Federation of NGOs in Bangladesh since its inception in 2002
  2. b) It became member of Coastal Fisher-folk Community Network (COFCON) since it’s inception in 1999
  3. c) Member of NGO-Forum for drinking water Supply and Sanitation since 1996.
  4. d) Member of Chittagong Southern Development Forum (CSDF) since inception in 2000.
  5. e) Member of NGO Alliance of Chittagong (NAC) since inception in 2000
  6. f) Member of Cox’s Bazaar NGO Alliance (CAN) since inception in 2000

g). Member of Forum for Participatory Education and Development since 2000

  1. Member of Forum for Planned Chittagong since it’s inception in 2001.
  2. Member of ALRD since its inception.
  3. Member of food security cluster cox’s bazar leaded by WFP.

Continue reading “External Relationship”

Financial Management

Banking details of SHED

Name of A/C A/C No. A/C type Name of Bank Branch with Address
SHED-General Fund 12953 CA Islami Bank Bangladesh Ltd. Teknaf Branch, Bus station, Teknaf, Cox’s Bazar.
Cash transfer to WFP Assistant Activities 4128-428069-000 CA AB Bank Ltd. Teknaf Branch, Abu Hanif Market, Teknaf, Cox’s Bazar.
Cash transfer to WFP Assistant Activities 4128-428069-000 CA AB Bank Ltd. Teknaf Branch, Abu Hanif Market, Teknaf, Cox’s Bazar.
SHED-IPFACMP 4128-427805-000 CA AB Bank Ltd. Teknaf Branch, Abu Hanif Market, Teknaf, Cox’s Bazar.
SHED-SHOUHARDO II 4128-354077-430 STD AB Bank Ltd. Teknaf Branch, Abu Hanif Market, Teknaf, Cox’s Bazar.
SHED-IMCN 4128-399898-430 SA AB Bank Ltd. Teknaf Branch, Abu Hanif Market, Teknaf, Cox’s Bazar.

 

Financial Management of SHED

The organization has its own financial policy that was initially developed with initiative of BPHC,

a project of DFID in 1996 aided by national experts. Since than the policy has been under continuous up gradation as advised by different auditors as well as donors’ expert contributions. Through this process our financial policy has become up-graded to modern/ international financial system.

Some key points of the financial system have been described bellow that is followed to maintain financial matters;

  • Maintained separate bank account for individual project and checks signed by President/treasurer and Executive Director as mandatory.
  • Books of accounts maintained are, cash/bank book, ledger book, general ledger etc.
  • Cash and accrual basis of financial transaction
  • Segregation of responsibilities:-

 

    1. Preparation of vouchers by accounts section
    2. Checked by project head/ respective supervisor
    3. Approved by Executive Director

 

  • Submission of monthly/quarterly and annual financial report prepared as per donors prescribed format
  • Internal monitoring system are exercised
  • Internal and external audit by donor
  • Maintain standard procurement system acceptable to donors.
  • Budgetary control is maintained by reviewing budget variance monthly an quarterly basis
  • Internal control

 

Accounting system,

  • identify and record all valid transactions
  • accurately record transactions in the proper time/period
  • properly classify transactions in accounts
  • properly present financial statements and related disclosures

Continue reading “Financial Management”